Home ইন্টারভিউ টিপস যে কোন ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার কিছু টিপস

যে কোন ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার কিছু টিপস

4140
interview photo

ইন্টারভিউ টিপস( Interview Tips in Bangla)

ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকারের নাম শুনতেই আমরা যতই ডিগ্রিধারী (qualified) বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয় না কেন কিছুটা হলেও ভয় পেয়ে যায় । বিশেষ করে আপনি যখন প্রথমবার ইন্টারভিউ দেন তখন বেশি ভয় পান । অনেক সময় এমনও হয় আমরা অনেক ইন্টারভিউতে উপস্থিত হই- আমাদের যোগ্যতামান ভালো, বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বর ভালো, তারপরও আমরা কাজটা পায় না, চাকরিটা পায় না, বারবার rejected হয়ে যায় । একটা গবেষণা থেকে দেখা গেছে Interviewer প্রথম চার মিনিটের মধ্যেই ঠিক করে নেন তিনি প্রার্থীকে Select করবেন কি করবেন না । এর মানে এই যে, আপনি কেমন দেখতে মনে আপনার appearance, আপনি কিভাবে Interviewer সাথে কথা বলছেন, কেমনভাবে বসছেন, আপনার অঙ্গভঙ্গি- এসব জিনিস গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়গুলো থেকে । চার মিনিটে Interviewer আপনাকে কিভাবে বিচার করেন, আর কিভাবে আপনি সফলতার সঙ্গে ইন্টারভিউ দিতে পারবেন- তা আজ আমরা আলোচনা করব ।

আরেকটা কথা জানিয়ে রাখি ইন্টারভিউ নিয়ে আরো বেশ কয়েকটি আর্টিকেল প্রকাশ করব । যেমন- ইন্টারভিউয়ের আগে কি করতে হবে, ইন্টারভিউয়ের দিন কি কি করতে হবেএবং ইন্টারভিউ হয়ে যাওয়ার পর কি করতে হবে । আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটা হল ইন্টারভিউয়ের আগে কি কি করতে হবে । আজকের ভিডিওতে মূলত শেয়ার করব কিভাবে আপনি কনফিডেন্টলি অর্থাৎ আত্মবিশ্বাসের সাথে ইন্টারভিউ দিতে পারবেন । সবার প্রথমে এটা জেনে রাখুন যে কনফিডেন্স অর্থাৎ আত্মবিশ্বাস মানে এটা নয় যে, আপনি সবচেয়ে ভালো আর বাকি সব খারাপ- এটা অহংকার বা ego । অপরের সাথে তুলনা করার জন্য নয় আত্মবিশ্বাস আপনার নিজের জন্য, নিজের ওপর ভরসা করার জন্য ।

(১) সুষম খাদ্য গ্রহণ (Balanced Diet):

এবার হয়তো আপনি ভাবছেন, খাওয়ার সাথে আত্মবিশ্বাসের কি সম্পর্ক? আসলে খুবই গভীর সম্পর্ক । আত্মবিশ্বাস আপনার ভাবনার সাথে যুক্ত, আর আপনার ভাবনা আপনার মস্তিষ্কের সাথে, আর আপনার মস্তিষ্ক আপনার শরীরের সাথে যুক্ত । আপনি যদি না খান বা অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন বা উল্টোপাল্টা খাবার খান তাহলে সেটা আপনার felling-কে প্রভাবিত করবে, আর অপ্রত্যক্ষভাবে অভাবে আপনার আত্মবিশ্বাসকেও প্রভাবিত করবে । সেই কারণে ইন্টারভিউয়ের কিছুদিন আগে থেকে আপনি ব্যালেন্স ডায়েট করবেন, আর এটা কে সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে নেওয়া উচিত বেশিরভাগ লোকজন এতই নজর দেন না, অন্য বিষয়গুলো নিয়ে পড়ে থাকেন ।

(২) প্রস্তুতি এবং অনুশীলন (Preparation & Practice):

প্র্যাকটিসের কোনো বিকল্প নেই । আপনি যে কোম্পানি বা সংস্থার ইন্টারভিউয়ের জন্য যাচ্ছেন তার সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য জোগাড় করুন । কোম্পানি বা সংস্থাটা কত বড়, কোথায় কোথায় তাদের অফিস আছে, কোম্পানির প্রধান কাজ কী এবং এবং ওই কোম্পানি একজন আবেদনকারী কাছ থেকে কী কী প্রত্যাশা করে সে সম্পর্কেও একটা ধারণা আপনাকে তৈরি করতে হবে । এছাড়াও কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্কিত abbreviation -এর সম্পূর্ণ অর্থ (Full form) আপনাকে জেনে যেতে হবে, যেমন-TCS, SSC, HSC. এগুলো জানা থাকলে আপনার দুটো উপকার হবে- a. যদি ইন্টারভিউয়ে কোম্পানি বা সংস্থার সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করা হয় তাহলে তার সম্বন্ধে আগে থেকেই আপনার কাছে information আছে, ফলস্বরূপ আপনি উত্তরটা দিতে সক্ষম হবেন, যেটা তা প্রমাণ করবে আপনার knowledge জ্ঞান আছে, একইসাথে organization সম্পর্কে আপনি সিরিয়াস । b. যদি কোম্পানি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন নাও করে তা সত্ত্বেও যেহেতু আপনি সব তথ্যগুলো গুলো আগে থেকেই জানেন তাই আপনার ভিতরে একটা কনফিডেন্স/ আত্মবিশ্বাস থাকবে ।

এছাড়াও ইন্টারভিউ যে সমস্ত কমন প্রশ্ন করা হয় সেগুলো সম্বন্ধে আগে থেকেই প্রস্তুতি এবং অনুশীলন করে যেতে হবে, এর জন্য আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে, কষ্ট করতে হবে । মনে রাখবেন ইন্টারভিউ আপনার চাকরি পাওয়ার শেষ ধাপ তাই অনুশীলনে কোনো ঘাটতি রাখলে চলবে না ।

positive thinking

(৩) ইতিবাচক চিন্তা (Positive Thinking):

আমাদের যে মস্তিষ্ক তা অনেকটা বাচ্চাদের মত, তাকে প্রত্যক্ষভাবে বা অপ্রত্যক্ষ ভাবে যা বলা হয় সেটাকেই সত্যি বলে ধরে নেয় । এই কথার মূল বক্তব্য হলো আপনি আপনার মস্তিষ্ক বা ব্রেইনকে ইন্টারভিউ নিয়ে ইতিবাচক বা পজেটিভ মেসেজ দিতে থাকুন, যেমন- আমি খুব ভাল ইন্টারভিউ দেবো, আত্মবিশ্বাসের সাথে দেবো, ইন্টারভিউয়ারদের impress করব । কারণ by default আপনার ব্রেইন নেগেটিভ চিন্তাভাবনা করবে । তো সেটা আসার আগে অর্থাৎ নেগেটিভ চিন্তাভাবনা আসার আগেই, যেমন- হয়তো আমার ইন্টারভিউ খারাপ হবে, অনেকজন interviewer- এর সামনে আমি কি করবো?, ওই দিন শরীরটা ভালো থাকবে তো? আমার দ্বারা ইন্টারভিউ হবে না- এইসব চিন্তা ভাবনা আসার আগেই আপনি আপনার ব্রেনকে পজেটিভ মেসেজ দিতে থাকুন- এটা আপনার কনফিডেন্স লেভেলকে Low থেকে High করে দেবে ।

File

(৪) আগে থেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে রাখুন:

আপনার যত documents, যেমন- C.V., Educational Testimonials, Experience Certificate প্রভৃতি খুব ভালভাবে পরপর সাজিয়ে ফাইলে রাখতে হবে ইন্টারভিউ-এর কয়েক দিন আগে । এটা করার ফলে ইন্টারভিয়ের আগের মুহূর্তে ডকুমেন্টস নিয়ে আপনার কোন চিন্তা থাকবে না ।
(৫) পোশাক (Dress):

কথায় বলে First Impression is the Last Impression অর্থাৎ কারোর মনে আপনার সম্পর্কে প্রথম যে ছবি তৈরি হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত তারই প্রভাব থেকে যায় । ইন্টারভিয়ের ক্ষেত্রে এটা অনেকটাই প্রযোজ্য, কম্পানি বা সংস্কার কাজের ধরনের সাথে মিল রেখে মার্জিত পোশাক পরিধান করতে হবে । কোন ধরনের পোশাক ওই কাজের সাথে মিলছে সেটা আপনি আগে থেকে কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকে জেনে নেবেন এবং ইন্টারভিউয়ের বেশ কিছুদিন আগে সেই পোশাকটা বাড়িতে রেডি করে রাখবেন ।

Interview dress code
বন্ধুরা ইন্টারভিউয়ের আগে কি কি করতে হবে সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভিডিও আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছি । নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে ভিডিওটি অবশ্যই দেখুন।

-> Click Here

পরবর্তীতে ইন্টারভিউয়ের ওপর আরও কয়েকটি আর্টিকেল প্রকাশ করব । সর্বদা আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য আমাদের Official Android App প্লে স্টোর (Play Store) থেকে Download করে নিন নিচের ছবিতে ক্লিক করে ।


আমরা প্রতিদিনই বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক বিষয় পোষ্ট করে করে থাকি, এগুলো আপনাকে প্রতিনিয়ত শক্তি যোগাবে।

আজকের আলোচনা ভাল লাগলে একটা কমেন্ট করবেন আর আপনার বন্ধুদের সাথে অবশ্যই এটা শেয়ার করবেন । পুরোটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ । শুভকামনা ।

** এই ধরনের পোস্ট গুলো আপনার ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন l